Religion & Spirituality

"১০০০ ইসলামিক উপদেশ" একটি সংকলিত বই, যা ইসলামিক ধর্ম ও সামাজিক জীবনের বিভিন্ন বিষয়ে উপদেশ ও নির্দেশনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে। এই বইতে ১০০০টিরও বেশি পরিচিতি এবং প্রাচীন উক্তি, উপদেশ, ও মহাপুরুষের বিচার সম্মত করে তাদের মাধ্যমে মুসলিম জীবনের নির্দেশনা এবং আদর্শ অর্জনের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এই উপদেশগুলো আধুনিক সময়ের চেতনার প্রাসঙ্গিকতা ও প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে বিবেচনা করে প্রদান করা হয়েছে, যা পাঠকদের ইসলামিক জীবনের মার্গদর্শন করতে সাহায্য করে। এই বই মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে স্বাধীনতা, সম্মান, ও সহিষ্ণুতা সহ ধার্মিক সংকট ও প্রাথমিক প্রস্তুতির জন্য একটি উপযোগী সংস্থান।

কুরআন, প্রায়শই পবিত্র কুরআন নামে পরিচিত, এটি ইসলামের মূল ধর্মগ্রন্থ, বিশ্বব্যাপী এক বিলিয়নেরও বেশি মুসলমানের দ্বারা সম্মানিত। এটি একটি গভীর সাহিত্যিক মাস্টারপিস, যা শাস্ত্রীয় আরবি গদ্যে রচিত, এবং এর কাব্যিক শৈলী, বাগ্মিতা এবং অর্থের গভীরতার দ্বারা আলাদা। এর ধর্মীয় তাৎপর্যের বাইরেও, কুরআন তার ভাষাগত এবং সাহিত্যিক শ্রেষ্ঠত্বের জন্যও অধ্যয়ন করা হয়, যা আরবি সাহিত্য ও কবিতাকে কয়েক শতাব্দী ধরে প্রভাবিত করে। এর শ্লোকগুলি ধর্মতত্ত্ব, ইতিহাস, ব্যক্তিগত আচরণের নির্দেশিকা এবং নৈতিক শিক্ষা সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর স্পর্শ করে, যা মানুষের অবস্থা এবং অস্তিত্বের প্রকৃতির অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। কুরআন সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত সীমানা অতিক্রম করে মুসলিম ও অমুসলিমদের জন্য আধ্যাত্মিক দিকনির্দেশনা, জ্ঞানার্জন এবং অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করে চলেছে।

Muhammad The Last Prophet বাংলা ভাষায় একটি অবদানমূলক বই। এটি ইসলামের প্রধান ধর্মীয় আইন প্রবর্তনকারী প্রফেত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবন এবং কাজের উপর ভিত্তি রেখে লেখা। এই বই মুহাম্মদ (সা.) এর বিশ্ব মানবিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ইতিহাসের মূল ভূমিকা সম্পাদন করে।

আজকের এই অস্থির সময়ে যখন নন-ইসলামিক ও এন্টি-ইসলামিক শক্তিগুলো মডার্ণ টেকনোলোজির সুবিধাকে পুরোমাত্রায় কাজে লাগিয়ে ইসলামের মর্মমূলে আঘাত হানার চেষ্টা করছে, নানমূখী আগ্রাসনের তোপে মুসলিমরা যখন আত্মপরিচায় হারিয়ে দিশেহারা হয়ে যাচ্ছে, তখন নিজেদের প্রায় হারিয়ে ফেলা ব্যক্তিসত্তা বিনির্মাণে এই বইটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে, ইনশাআল্লাহ।

নবিজি এমন কী বিশেষ কথা আমাদের জন্য বলে গিয়েছেন, এমন কী গুরুত্বপূর্ণ আমলের খবর আমাদের দিয়েছেন, কারও কোনো প্রশ্ন করা ছাড়াই নিজ আগ্রহে তিনি কোন কোন বিষয়গুলো আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন—চলুন জীবনে একবার হলেও সেগুলো জেনে নিই।

"আলোর সিরি" হলো একটি অদ্ভুত, প্রফুল্লিত ও সমৃদ্ধ নাটক রচনা, যা একটি পরিবারের কাহিনী বিষয়ক। এই নাটকে সাধারণ পরিবারের দিনচর্যা, ভালবাসা, দুর্দশা, ও অনুভূতির সম্পর্ক দর্শানো হয়। লেখক প্রতিটি চরিত্রকে গভীরভাবে নির্মিত করে এবং তাদের মধ্যে সম্পর্ক ও বন্ধুত্বের নানা রঙ ও দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন। এই নাটকের মাধ্যমে পাঠকদের পরিবারের প্রেম ও মূল্যবান সম্পর্কের গুরুত্ব সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়। সারাদিনের গল্পে সুখের ও দুঃখের রঙ ও নানা দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তারা অভিনব পরিবারের সাথে এক সংসারের আশা করে।

সব সাহাবীই (রা)জান্নাতী। কিন্ত আল্লাহর রাসূল (স) একই মজলিসে উল্লেখিত দশজন সাহাবীর (রা) বেহেশতের সুসংবাদ দেন। এটি উক্ত দশজন সাহাবীর জন্য বড়ই সৌভাগ্য। আলোচিত বইটি পড়ে পাঠক তাদের জীবন আদর্শ জেনে তদানুযায়ী জীবন পরিচালনার প্রয়াস পাবে ও জান্নাতী হওয়ার চেষ্টায় রত থাকবেন। তাই বইটির গুরুত্ব অপরিসীম।

এসবরই স্বচ্ছন্দ ও সুখপাঠ্য পর্যালোচনা হাজির করেছেন বর্তমান সময়ের তুমুল জনপ্রিয় দাঈ শাইখ মিজানুর রহমান আজহারি। সেইসঙ্গে তরুণ প্রজন্মের সামনে পেশ করেছেন সুস্থ-সুন্দর, সময়োপযোগী ও ঈমানদীপ্ত জীবনের নববি চালচিত্র। সময়ের সবুজ সওয়ারিদের আহ্বান করেছেন গৌরবময় সত্যের পথে।

"ইনসাইড ইসলাম" বইটি বাংলাদেশের প্রখ্যাত লেখক এবং ইসলামিক বিদ্যালয়ের প্রধান মুফতি আব্দুল ওয়াহিদ এর লেখা। এই বইটি ইসলামের বিভিন্ন দিকে প্রবেশ করে, ধর্মের নৈতিকতা, বিশ্বাস, ও অনুষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে পাঠকদের একটি আধুনিক বোঝার অনুভূতি দেয়। এটি ইসলামের মৌলিক বিধান, মূল ধারণা, ধর্মীয় কর্তব্য, এবং ইসলামের মূল প্রতিষ্ঠান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে।

মুফতি আব্দুল ওয়াহিদের স্পষ্ট ও সহজবোধ্য ভাষায়, বইটি জটিল ধারণাগুলি উপস্থাপন করে এবং ইসলাম নিয়ে সাধারণ মিথভ্রমাদির সঙ্গে পরিচিতি করে। "ইনসাইড ইসলাম" মুসলিমদের তাদের ধর্মের জ্ঞান বৃদ্ধি করার জন্য এবং ইসলাম সম্পর্কে অনিন্দ্য প্রস্তুতি সরবরাহ করার লক্ষ্যে লিখা হয়েছে। এটি সাধারণ পাঠকদের ইসলামের অনুভূতি এবং মূল বিষয়ে সঠিক ধারণা প্রদান করে এবং ধর্মীয় সমস্যাগুলির নিকট প্রান্তিক অনুসন্ধানের জন্য প্রোত্সাহিত করে।

"ইসলামে হালাল হারাম" একটি ধার্মিক বই যা ইসলামের শাস্ত্রীয় সূত্রে হালাল ও হারামের বিষয়ে আলোচনা করে। এই বইতে ইসলামের প্রধান শাস্ত্রীয় গ্রন্থসমূহ থেকে উদ্ধারিত বিভিন্ন নীতিমালা, প্রয়োজনীয় আদর্শ, ও অনুশাসনের পরিপ্রেক্ষিতে হালাল ও হারাম নির্ধারণের প্রস্তুতি করা হয়েছে। এই বই মুসলিম পাঠকদের ইসলামিক আদর্শ ও নীতি সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান দেওয়ার পাশাপাশি তাদের ধার্মিক জীবনে সঠিক নির্দেশনা ও মার্গনির্দেশনা প্রদানে সাহায্য করে। এই বই ইসলামের মূল প্রিন্সিপলসমূহের উপর ভিত্তি করে ইসলামী সমাজে নিয়মিত জীবনযাত্রার জন্য মার্গনির্দেশনা দেয় এবং ধার্মিক জীবনের সঠিক উপযুক্ত উপভোগ ও প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করে।

"ইসলামের জন্ম ও মৃত্যু" হলো একটি ধর্মীয় বই, যা ইসলামের উৎপত্তি এবং শেষ নিয়ে আলোচনা করে। এই বইতে ইসলামের উত্থানের প্রারম্ভিক অধ্যায় থেকে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতার বিভিন্ন দিক, ইসলামী প্রধান তথ্য ও ঘটনাগুলি সংক্ষেপে বর্ণনা করা হয়েছে। বইটি প্রাথমিকভাবে ইসলামের প্রবর্তক, ইসলামী সমাজের উৎপত্তি এবং ধর্মীয় উন্নতির উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। এটি ধর্মীয় পথে একটি উদাহরণমূলক গ্রন্থ এবং ইসলাম ধর্মের ভারসাম্য ও মূল্যবান তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি।

চারিদিকে অন্যায় ও বাতিলের ছড়াছড়ি। ইসলামকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে অপশক্তি ও মিডিয়া কাজ করে যাচ্ছে। ইসলামের বিকৃতি ও ভুল বিশ্লেষণের মাধ্যমে মানুষের মাঝে ইসলামের প্রতি অনীহা সৃষ্টি করা হয়েছে। সারা দুনিয়ায় ইসলামকে মৌলবাদী ও সন্ত্রাসের ধর্ম হিসেবে প্রচার করা হয়েছে। সঠিক ইসলাম মানুষের কাছে এখন অপরিচিত। ইসলামের বাণী নিয়ে যখন মানুষের দ্বারে দ্বারে যাই তখন দেখি মানুষের মাঝে ইসলাম নিয়ে সন্দেহ ও দ্বিধা কাজ করে। এই সবকিছুর সমাধান হলাে সঠিক ইসলামকে মানুষের কাছে খুব বেশি প্রচার করা চাই। এই প্রচার করতে যেয়ে মানুষের কাছ থেকে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। এইসব প্রশ্নের উত্তর ও ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার আলােকে লেখা আমার এই বইয়ের নাম দিয়েছি এই জমানায় ইসলাম।

এককথায়— কুরআন কীভাবে আমাদের জীবনের কথা বলে, কীভাবে আমাদের জীবনে কুরআন হয়ে উঠতে পারে আলোর দিশা, কুরআনের আয়াতগুলো থেকে কীভাবে আমরা আহরণ করতে পারি মণি-মুক্তো, কীভাবে কুরআন আমাদের চিন্তার জগতে আনতে পারে নতুন মাত্রা— পাঠক পরিচিত হবে সেরকম একটা ধারার সাথে। উঁহু, গতানুগতিক গদ্য বা খটমটে প্রবন্ধ নয়, প্রতিটা অধ্যায়ে পাঠক দেখতে পাবে তার জীবনের প্রতিচ্ছবি, জীবন থেকে নেওয়া ঘটনা অথবা চারপাশের চিরচেনা জগতের সাথে কুরআন কীভাবে ওতপ্রোতভাবে সম্পর্কিত। জীবনের গল্প পড়তে পড়তে পাঠক ঢুকে পড়বে কুরআনের ভাবনার জগতে, সেই জগত থেকে আলো ধার করে পাঠক আবার ফিরে আসবে জীবনের ধারায়— ‘কুরআন থেকে নেওয়া জীবনের পাঠ’ বইটা সাজানো ঠিক এভাবেই, আলহামদুলিল্লাহ।

"কে সেই নবীজী (সাঃ)" হলো একটি বই যা মুহাম্মদ (সাঃ), ইসলামের প্রধান নবীর জীবন ও কার্যকালের উপর ভিত্তি করে লেখা। এই বইতে নবী (সাঃ) এর জীবন, অসাধারণ চরিত্র, মর্যাদা, অদম্য আদর্শ, দারিদ্র্য ও অবিচ্ছিন্ন বিশ্বাসের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এই বইটি পাঠকদের সাথে নবী (সাঃ) এর অদম্য মানবিক গুণগুলি পরিচিত করার জন্য অত্যন্ত উপযোগী হতে পারে। এটি ইসলামী সংস্কৃতি, আদর্শ ও ব্যক্তিত্ব উন্নতির প্রতি আগ্রহী পাঠকদের জন্য অত্যন্ত সুস্বাদু একটি পাঠ্যপুস্তক।

এই বইটি কেয়ামত সম্পর্কে বর্ণীত, বিচারের দিনটি মুসলমানদের জন্য সৎভাবে জীবনযাপন করার, তাদের বাধ্যবাধকতাগুলি পূরণ করতে এবং তাদের ত্রুটিগুলির জন্য ক্ষমা চাওয়ার জন্য একটি অনুস্মারক, কারণ এটি পার্থিব জীবনের ক্ষণস্থায়ী প্রকৃতি এবং পরকালে ঈশ্বরের কাছে চূড়ান্ত জবাবদিহিতার উপর জোর দেয়।

"কোরানসূত্র" বইটি একটি মৌলিক ইসলামিক গ্রন্থ, যা কুরআনের বিভিন্ন সূরা এবং তারতীব নির্দেশিত করে। এই বইটি সুলতানী তারতীব অনুযায়ী প্রকাশিত হয়েছে, যা কুরআনের প্রতিটি সূরা এবং অধ্যায়ের ক্রমবিন্যাস ও সাজানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে। বইটি মুসলিম ব্রাদারহুডের জন্য একটি অত্যন্ত উপকারী উপাত্ত হিসেবে বিবেচনা করা হতে পারে, যা তাদের কুরআনের সঠিক অনুবাদ এবং ব্যাখ্যার সাথে পরিচিত করে।

"খুতুবাতে ফয়েজী (জুমার বয়ান-১)" একটি উত্তম ইসলামিক গ্রন্থ যা সুফি রহমতউল্লাহ আল-ফায়যাজী এর প্রস্তুতির মধ্যে অনেকগুলি জুমার বয়ানের মূল ধারণা ও পরিচয় প্রদান করে। এই বইটির মাধ্যমে পাঠকদের ইসলামের মূল সিদ্ধান্ত, মৌলিক ধারণা এবং আদর্শগুলির সাথে পরিচিত হয়ে উঠা যায়, যা ধর্মীয় বুদ্ধিমত্তার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ অংশ রয়েছে।

"গুনাহমুক্ত জীবন" বইটি একটি অত্যন্ত প্রভাবশালী ধার্মিক গ্রন্থ, যা মানবজাতিকে ধর্মীয় আদর্শ ও জীবনযাত্রার উপর চিন্তা করার জন্য উদ্দীপ্ত করে। এই বইটি গুনাহমুক্ত জীবনের সাধনার প্রয়োজনীয়তা এবং কীভাবে মানবকে ধর্মমুক্ত ও উদার হতে পারে তা সম্পর্কে অনুভবগত সন্ধান করে। বইটি প্রাচীন ধার্মিক প্রতিষ্ঠান ও আধুনিক জীবনের সমাহার প্রদান করে, যা পাঠকদের আত্মবিশ্বাস এবং ধর্মিক সাধনার দিকে প্রেরণা দেয়।

চরিত্র গঠনের উপায়। অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি কথা। চরিত্রের নৈতিক ভিত্তির উপর মজবুত থাকার মাধ্যমে এটি অর্জন করা যায়। চরিত্র আপনা-আপনি উন্নত বা অনুপম হয় না। এর জন্য অধ্যবসায় ও চর্চার প্রয়োজন হয়। প্রত্যেক মুসলিমকে কুরআন-সুন্নাহ থেকে অনুপম চরিত্রের জন্য অর্জনীয় ও বর্জনীয় উপাদান সম্পর্কে জানতে হয় এবং জীবনের সর্বক্ষেত্রে তা চর্চা করতে হয়।

নৈতিক অবক্ষয়ের সয়লাবে আমাদের বর্তমান সমাজের প্রায় সর্বক্ষেত্র ডুবে আছে। বিশেষ করে তরুণ সমাজের মাঝে চারিত্রিক ও মানবিক মূল্যবোধের সঙ্কট প্রকট রূপ ধারণ করেছে। পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যথাযথ নৈতিক শিক্ষা ও চর্চার মাধ্যমে জাতির ভবিষৎ কর্ণধার এই তরুণ-তরুণীদের আদর্শিকভাবে গড়ে তোলা অপরিহার্য।
উন্নত নৈতিক চরিত্রের শ্রেষ্ঠতম নমুনা হলেন, আমাদের প্রিয়নবী রাসূলুল্লাহ (স)। মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় হাবিবের মাঝে ইনসানিয়াতের জন্য প্রয়োজনীয় ও গ্রহণযোগ্য সবটুকু বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি পরিপূর্ণভাবেই দিয়েছিলেন। অন্যদিকে অকল্যাণ ও ক্ষতিকর যাবতীয় দোষ-ত্রুটি থেকে তিনি ছিলেন সর্বতোভাবে পবিত্র। আর এ জন্য মানবজাতির সার্বিক কল্যাণ ও সাফল্যের জন্য আল্লাহ তাআলা আখেরি নবী মুহাম্মদ (স)-এর জীবনাদর্শ অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন।

"জীবনের সন্ধানে" সম্ভবত জীবনের অর্থ এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে একটি দার্শনিক বা অস্তিত্বগত অনুসন্ধান হতে পারে। এটি মানুষের অভিজ্ঞতা, অস্তিত্বের প্রকৃতি এবং পরিপূর্ণতা এবং অর্থের সন্ধান সম্পর্কে প্রশ্নগুলির মধ্যে থাকতে পারে।

অনুরূপ শিরোনাম সহ বইগুলি প্রায়শই ব্যক্তিগত প্রতিচ্ছবি, দার্শনিক অনুসন্ধান এবং এমনকি আধ্যাত্মিক বা ধর্মীয় অন্তর্দৃষ্টিগুলিকে একত্রিত করে পাঠকদের জীবনের জটিলতা এবং রহস্য সম্পর্কে গভীরভাবে উপলব্ধি করতে।

"তালীম ও তাযকিয়া (১-১০ খণ্ড একত্রে)" একটি বুদ্ধিমত্তা ও আত্মবিশ্বাসের উন্নতির জন্য একটি অদ্ভুত গ্রন্থ। এই গ্রন্থে প্রকাশিত সকল খণ্ডে একসাথে সমাহারিত করা হয়েছে, যা পাঠকদের একত্রে ধার্মিক শিক্ষা ও আধ্যাত্মিক উন্নতির পথে পরিচালিত করে। এই গ্রন্থে প্রতিটি খণ্ডে মূলত তালীম ও তাযকিয়া এই দুটি বিষয়ে অধ্যয়নের মাধ্যমে পাঠকদের বুদ্ধিমত্তা ও চরিত্র উন্নতির মার্গদর্শন দেওয়া হয়েছে।

এই বইয়ে আল্লাহর অসংখ্য গুণাবলির হাতেগোনা কয়েকটি দ্বারা আমি অক্ষম বান্দা তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে চেয়েছি। আর প্রথমে আমার নিজেকে এবং তারপর আমার দ্বীনী ভাইবোনদের জানাতে চেয়েছি যে, আল্লাহ সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। তাঁর দয়ার ভাণ্ডার অফুরন্ত। তিনি সব কিছু শোনেন, স-অ-ব কিছু দেখেন।
এই বইয়ের মাধ্যমে আমি আমার সেই ভাইয়ের কাঁধে সমবেদনার হাত রাখতে চাই, যে দুঃখ-দুর্দশায় পতিত। আমি এমন ভাইয়ের মাথায় হাত বুলাতে চাই, যে তীব্র মাথাব্যথায় কাতর। এই বইয়ে আমার লেখা বর্ণগুলোতে আমি লুকিয়ে রেখেছি আমার বিনিদ্র রজনীর অশ্রুধারা। যা দ্বারা আমি নিভিয়ে দিতে চাই প্রত্যেকের অন্তরে প্রজ্বলিত বেদনার অগ্নিশিখা।
এই বই রচনার পেছনে আমার ভেতরে আরও যে বিষয়টি কাজ করেছে, সেটি হলো— আল্লাহর নামগুলো না জানলে তো আমরা মরুভূমিতে পথহারা লোকের মতো হয়ে যাব। মরুভূমির গনগনে রোদে আমাদের দিনগুলো, আমাদের প্রাত্যহিক ‘আমালগুলো ঝলসে যাবে। ফলে অন্তরে সারাক্ষণ বিরাজ করবে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ।
তাই, আসুন, সবচেয়ে আপনজন হিসেবে আল্লাহকেই বেছে নিই। তাঁকে চেনা এবং জানার চেষ্টা করি। তাঁর ওপর ঈমান আনি। তাঁর ওপর দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করি। কেবল তাঁরই ইবাদাত করি। প্রয়োজনে তাঁরই সামনে নত হই। তাঁর নৈকট্য অর্জন করি। অবশ্যই আমরা সুখী হবো। আমাদের ভাগ্য খুলে যাবে।
অন্যথা আমাদের বেছে নিতে হবে ভ্রান্তি ও ভুলের পথ; যে পথে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে পদে পদে। যে পথে ক্লান্তি অনুভূত হয় ক্ষণে ক্ষণে। যে পথ ছিন্নভিন্ন করে মানুষের অন্তরাত্মা।
আমি এ দাবি করব না যে, বইটি জ্ঞানে পরিপূর্ণ অথবা অন্য সকল বইয়ের তুলনায় এটি ভালো। আমি শুধু আল্লাহর প্রতি আমার নির্ভরতা, আমার অক্ষমতা ও ভুল-ভ্রান্তি স্বীকার করে নেবো।
এই বইয়ে যদি ভালো কিছু থাকে, তবে এটিই চাইবো—তা যেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেন। আর যদি অন্য কিছু থাকে, তাহলে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা তো জানেনই যে, ভুল আমার পক্ষ থেকেই হয়েছে। আর আমি এও জানি, তিনি ক্ষমা করে থাকেন।
আল্লাহর কাছে চাই নিয়্যাতের বিশুদ্ধতা, কলম ও অন্তর থেকে উদ্ভূত ভুল-ত্রুটির।

"দ্য লিডারশিপ অব মুহম্মদ" বইটির সূচিপত্রঃ ভূমিকা বনি সা'দের কালাে তাঁবুতে মেষপালক ক্যারাভান লিডার মরুভূমির বাসিন্দা মুহম্মদ ‘বিশ্বস্ত একজন’ কষ্টের ভাগীদার মানবতাবােধ অতীত থেকে বর্তমান উপসংহার মুহম্মদ (সা.)-এর সংক্ষিপ্ত জীবনী

নবীজি! আমাদের নবীজি! আমাদের প্রাণের চেয়ে প্রিয় নবীজি! কখনো কী ভেবেছি নবীজি স. এর সংসার জীবন কেমন ছিলো? স্ত্রীদের সাথে কেমন ছিলেন তিনি? তিনিও যে স্ত্রীদের সাথে মান-অভিমান করতেন আমরা কি তা জানি? আবার স্ত্রীরাও অভিমান করলে কী করে তা ভাঙতেন? কেমন করে স্ত্রীদের নিয়ে বিনোদন করতেন? পারিবারিক কোন বিপর্যয় আসলে কী করে সেটার সমাধান করতেন?

"পর্দা ফ্যাশন নয় ইবাদাত" বইটি একটি ধর্মীয় গ্রন্থ, যা মুসলিম সমাজের পর্দার মহত্ত্ব এবং ইসলামী ধর্ম ও শরীয়া অনুসারে পর্দার ব্যাপারে আলোচনা করে। বইটি মুসলিম মহিলাদের পর্দার ব্যবস্থা এবং সুন্দরতা সম্পর্কে প্রশ্ন ও উত্তর সহিত তথ্য ও পরামর্শ প্রদান করে। এটি পাঠকদের ইসলামিক শরীয়া এবং সংস্কৃতির সঠিক বোধ এবং ব্যক্তিগত ধার্মিক উন্নতির পথ প্রদর্শন করে। বইটি পর্দার ব্যবস্থার প্রতি মুসলিম মহিলাদের বিশ্বাস এবং সম্মান প্রতি প্রেরণা করে, যা বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সূচনা এবং মানবিক মানবিক আবহাওয়ায় একত্রিত করে।

এই বইয়ে রমজান সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। রমজান হল ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র মাস, বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা উপবাস, প্রার্থনা এবং প্রতিফলনের মাধ্যমে পালন করে। 29 বা 30 দিন স্থায়ী, এটি নবী মুহাম্মদের কাছে কুরআন নাযিলের স্মরণ করে। মুসলমানরা ভোর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাদ্য, পানীয়, ধূমপান এবং অন্যান্য শারীরিক চাহিদা থেকে বিরত থাকে, আধ্যাত্মিক বৃদ্ধি, স্ব-শৃঙ্খলা এবং দাতব্য কাজগুলিতে মনোযোগ দেয়।

"ফাতোয়ায়ে হানাফিয়া" বইটির মূল উদ্দেশ্য হলো হানাফি মাতব্বা অনুসারে ইসলামিক শরীআতে নিজস্ব মতামতের উপর অধিকারিতা প্রদান করা। এই বইতে বিভিন্ন ফতোয়া (ধর্মীয় মতামত) সংকলন করা হয়েছে যেখানে বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় ও সামাজিক সমস্যার উপর প্রশ্নগুলির উত্তর দেয়া হয়েছে। এটি মুসলিমদের ধর্মীয় অভ্যুদয় ও দৈনন্দিন জীবনের বিষয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশনা অনুসরণ করতে প্রস্তুতির জন্য একটি সম্পূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে কাজ করে। এটি হানাফি বিশ্বাসকারী বিদ্বেষীদের প্রবল রয়েছে যে বিভিন্ন ইসলামি ধর্মগ্রন্থের বিধান এবং বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের সমাধান দেয়া হয়েছে।

"বাইবেল, কুরআন এবং ইস্রায়েল" হলো একটি বই যা ইসলাম ও ইসরায়েলের সম্পর্কে উপন্যাসের মাধ্যমে আলোচনা করে। এই বইতে ইসলাম ও ইসরায়েলের ঐতিহাসিক, ধর্মীয়, সামাজিক এবং রাজনৈতিক বিষয়গুলি উল্লেখ করা হয়। এটি দুটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মের পরিচয় এবং ইতিহাসের পার্থক্য ও সম্পর্কে মানুষকে পরিচিত করার জন্য একটি প্রয়োজনীয় সংস্থান হিসেবে কাজ করে।

এই বইটিতে মুহাম্মাদ সঃ এর জীবনী ও সুন্নাহ সম্পর্কে বলা হয়েছে। যা আমদের জীবন কে মুহাম্মাদ সঃ এর সুনাহ মোতাবেক গড়তে সাহায্য করবে।

‘বিশ্বনবি ও তর 4 খলিফা’ ইসলামের আদি চারজন খলিফা বা কালিফা, যাদের নাম ইউমর ইবনে খাত্তাব, উসমান ইবনে আফান, আলী ইবনে আবু তালিব এবং আলীর বিশিষ্ট শিষ্য হাসান ইবনে আলী। এই চারজনের সময়ে ইসলামের প্রথম উদ্ভাবন এবং প্রসার ঘটে। তারা ইসলামের উন্নতি ও প্রসারের জন্য অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন। তাদের শাসনাধীন কালে ইসলাম একটি বৃহত্তর রাষ্ট্র হিসেবে উন্নীত হয়েছিল। তাদের শাসনকালে ইসলামী সামাজিক ও নীতি ব্যবস্থা সংরক্ষিত হয়েছিল, এবং ইসলামি আদর্শ এবং মর্যাদা উল্লম্ভন হয়েছিল। তাদের প্রতি মুসলিমের সম্মান এবং শ্রদ্ধা প্রকাশ করা হয়।

ইসলামী ঐতিহ্যে, জান্নাতকে চিরন্তন আনন্দ এবং সুখের স্থান হিসাবে চিত্রিত করা হয়েছে, যেখানে বিশ্বাসীরা তাদের প্রিয়জনদের সাথে পুনরায় মিলিত হয় এবং অকল্পনীয় আনন্দ দেয়। ইসলামিক গ্রন্থে জান্নাতের বর্ণনায় এর সৌন্দর্যের উপর জোর দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে রসালো বাগান, প্রবাহিত নদী এবং বিলাসবহুল প্রাসাদ যা মূল্যবান রত্ন দ্বারা সজ্জিত। এটি এমন একটি জায়গা যা ব্যথা, কষ্ট এবং পার্থিব ঝামেলা থেকে মুক্ত, যেখানে বিশ্বাসীরা তাদের বিশ্বাস, ভাল কাজ এবং আল্লাহর আনুগত্যের জন্য পুরস্কৃত হয়।

মহানবির (সা) জীবন সম্পর্কে পৃথিবীর দেশে দেশে অজস্র বই লেখা হয়েছে। বাংলা ভাষায়ও তাঁর একাধিক জীবনীর অনুবাদ আছে। তবে অধিকাংশ জীবনীগ্রন্থই তথ্যবহুল ইতিহাসগ্রন্থের মতো নীরসক; সেগুলো মোটেই সাবলীল ও সহজপাঠ্য নয়।
বিশিষ্ট আমেরিকান ধর্মতত্ত্ববিদ ড. ইয়াসির কাদি ইংরেজি ভাষায় ১০১ পর্বের ভিডিয়ো লেকচারে মহানবি মুহাম্মদের (সা) সমগ্র জীবন ও সময় নিয়ে যে আলোচনা করেছেন, তা ইতিমধ্যে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের কাছে বিপুলভাবে সমাদৃত হয়েছে। এই বইটি সেই সুদীর্ঘ ভিডিয়ো লেকচার সিরিজের বাংলা গ্রন্থরূপ।
এই বইয়ে কেবল নবিজির (সা) জীবনকাহিনি বর্ণনার পাশাপাশি তুলে ধরা হয়েছে সমসাময়িক আরব বিশ্বের আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, তাঁর জন্মেরও আগের ঐতিহাসিক ঘটনা ও পরিপ্রেক্ষিৎ। তা ছাড়া, এই বইয়ে নবিজির (সা) জীবন ও সময়ের অনেক ঘটনাকেই আমাদের বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করা হয়েছে, যা গতানুগতিক সিরাহ বইগুলোতে পাওয়া যায় না।
এই গ্রন্থের আরও একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো, এখানে মহানবির (সা) জীবন বর্ণিত হয়েছে অনেকটাই গল্পের আকারে, সাহাবি ও তাবেয়িন ও তাবেয়ি-তাবেয়িনদের নিয়ে অসংখ্য সত্য ঘটনা বর্ণনার মাধ্যমে।

"মহানবী (সাঃ) এর শ্রেষ্ঠ বাণী" হলো একটি সংকলন বই, যা ইসলামের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা:) এর জীবনে বলা এবং লিখা বিখ্যাত ও গুরুত্বপূর্ণ বাণীগুলি সংগ্রহ করে। এই বইতে নবী (সা:) এর বাণীগুলির বিভিন্ন বিষয়গুলি উল্লেখ করা হয়, যেমন ইমান, তাওহীদ, আখিরাত, ইবাদত, নেতৃত্ব, মানবিকতা, সহিহ আচরণ, সমাজ নির্মাণ, শিক্ষা, দৈনিক জীবনের পদ্ধতি, অনুশাসন, দয়া, অনুগ্রহ, সমগ্র মানবতা ও পরিবর্তন।

"মাআল মুস্তফা" হলো একটি বাংলা ধর্মীয় বই, যা মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনচরিত্র, উপদেশ, সহাবীদের কথাবার্তা, এবং ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করে। এই বইটি মুসলিম সমাজের জন্য একটি মূল্যবান সম্পদ, যা তাদের ইসলামী ধর্ম এবং জীবনযাপনের সঠিক মার্গনির্দেশনা প্রদান করে। বইটি প্রধানত মুসলিম প্রতিষ্ঠান, ইমাম, মুসলিম শিক্ষকদের এবং ইসলামিক প্রবণতাবান্ধবদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বইটি ইসলামী জীবনযাপনের নির্দেশনা ও অনুসরণের উপকারিতা নিয়ে চর্চা করে।

স্বপ্ন-ষড়যন্ত্র-দাসত্ব-দুর্ভিক্ষ-রাজত্ব—কী দারুণ এক সত্য আখ্যান! বাধা-বিপত্তির দেয়াল পেরিয়ে মঞ্জিলে পৌঁছার এই অসাধারণ গল্প কোটি হৃদয়কে উজ্জীবিত করছে শত সহস্র বছর ধরে। হতাশার পাহাড় মাড়িয়ে আশার আলো জ্বালিয়ে দেওয়ার এ গল্প আজকের প্রজন্মকেও স্পর্শ করে খুব। লালসার সমুদ্রে এ যেন পবিত্র একফোঁটা স্বচ্ছ জলবিন্দু! ইউসুফ আলাইহিস সালাম আমাদের বিজয়ী মহানায়ক, বিশ্বাসীদের নকিব। সূরা ইউসুফ আমাদের প্রত্যাশিত জীবনের এক অনন্য রিফ্লেকশন।